‘ভালোবাসুন,ভালো
থাকুন, কাউকে ভালো রাখুন’
কেন মন বসে না কোন কাজে ,চোখ দুটো যেন উজ্জল হয়ে আসছে,হ্রিৎপিন্ডের
স্পন্দন যেন ঝড় তুলছে,আনন্দে উৎপুল্ল,সে যেন ভেসে উঠে দৃষ্টির সিমানায়,
এটা কি ,এটা কি প্রেম ?।
ÕÕÕÕ তবে হতে পারে এটা সূচনা বা প্রেমের মোহে
পড়া।হুস্টনে ইউনিবার্সিটি অব টেক্সাস স্কুল অব পাবলিক হেলথের মনবিজ্ঞান বিভাগের
অধ্যাপক ইমেরিটাস ব্লেয়ার জাসটিস বলেন,এই আচরন প্রেম বা ভালোবাসার সূচনা প্রর্যায়ে হয় সচরাচর।ভালোবাসা হলো রসায়নের
এক খেলা:শরীরের উপর এর হিতকারী প্রভাব কম নয়।অনুরাগ ও
আসক্তি মগজের রসায়নের মূলে নিহিত। তেমন একটি রাসায়নিক হলো
এনডোর্ফিন। এই রাসায়নিকটি দেহে প্রতিরোধব্যবস্হা উন্নত
করে,ব্যথা উপশম করে,চাপ প্রশমিত করে,বার্ধক্যের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে,ব্যয়াম ও
শরীর আরও উদ্দীপিত করে এই এনডর্ফিন নিঃসরন। এমনকি দূরপাল্লার দৌড়ে এনডোর্ফিন জন্য
ব্যথা ও অবসন্নতা বোধ ঘটেনা,বরং দৌড়ের শেষে নিজেকে মনে হয় নমনীয় ও শক্তীমান। যখন ভালোবাসা ও এন্ডোর্ফিন নিঃসরন উদ্দীপ্ত করে
ভালোবাসার উষ্ঞ যন্ত্রনা বরং শক্তি দেয় মানুষকে।এনডর্ফিন তীব্রতর হয়,আর ও রাসায়নিক ক্রমে চড়া হয়ে
উঠে,আসে আমোদ উৎপাদক হরমোন
রাসায়নিক ডোপামিন ও নরইপিনেফ্রিন,এই নিউরোট্রান্সমিটারটি ইতিবাচক প্রনোদনার সজ্ঞে
সম্পর্কিত,এটি কাউকে করে বড় উদ্দীপ্ত ,কেউ কেউ ভালোবাসাতে হয় আসক্ত,কেবল ঘনিষ্ট
ভালোবাসা নয়,দৈহিক সংস্পর্শ নিঃসৃত করে এনডর্ফিন,যেমন হরমোন অক্সিটোসিনও।মানুষের
মধ্যে বন্ধন্ স্হাপনে অক্সিটোসিনের ভূমিকা অনন্য।এই দুটো রাসায়নিক প্রাকৃতিক আফিমের
মত কাজ করে,নেশা ধরায় মনে,আসক্তি টানে,সুস্হিত করে রোমান্টিক সম্পর্ক।-বলেন
ডাক্তার মাইকেল ওডেন্ট।অন্তরজ্ঞ স্পর্শ যেমন হাতে হাত ধরা, হাত ধরে হাটা,প্রেমিকের
গালে টোকা দেওয়া-এমন আন্তরিক ভালোবাসা রোগ প্রতিরোধ এন্টিবডি বাড়ায়।গ্রোথ হরমনকে
প্রনোদিত করে। আমাদের অসুস্হ হওয়া ও ভালো থাকা।আমাদের বিষন্ন হওয়া ও সুখি থাকা,এ
সব মূলে রয়েছে ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতা।জিবনসঙ্গীদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা অনেক রোক
প্রতিরোধ করে,দীর্ঘায়ু করে দাম্পতিকে।যাদের মা বাবার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক তাদের
হ্রিদ রোগ কম হয়।মুলকথা -ভালোবাসার শক্তি স্বাস্হ্যকুশল বাড়ায়।